আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ায় হঠ্যাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন অনেকে। নতুন সংক্রমণের দুইটি কারণ তুলে ধরা হয়েছে। বহু মানুষ দেশের বাইরে থেকে অস্ট্রেলিয়া আসছেন , তাদের সকলেই বাধ্যতামূলক ভাবে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। কিন্তু কোয়ারেন্টিনের নিয়ম যথাযথ মেনে চলছে না তারা। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে যৌনসম্পর্ক। অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ মানুষ লকডাউনের সুযোগ নিয়ে যৌনতায় সময় ব্যয় করছেন।
মে মাসের শেষে থেকে হঠ্যাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংক্রমণ। এর কারণ হিসেবে কিছু বিষয় সামনে এসেছে। প্রথমত হোটেলগুলো সঠিক নিয়ম মেনে চলেনি। অনেকেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন মানেনি।
মেলবোর্নের একটি খ্যাতনামা হোটেল থেকে একদিনে ৩১ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। সেই সাথে আরো দুইটি হোটেল থেকে বেশ কয়েকজন পজেটিভ এসেছে। বলছেন, সময় কাটাতে যৌন কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিলেন সবাই। কয়েকটা হোটেলও এ বিষয়ে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। মেলবোর্নে নতুন করে আবার লকডাউন শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে ৭৩০ জন করোনা আক্রান্ত। আগামী দুসপ্তাহের জন্য বাইরের দেশ থেকে কেউ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার অন্য অঞ্চলে বসবাসকারী কেউ মেলবোর্নে আসতে চাইলে অনুমতি লাগবে। এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে ৬০ হাজার অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা দেশে ফিরেছেন এবং তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, এই করোনার সময়ে কারও সঙ্গে এই মুহূর্তে যৌন মিলন করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু তাই নয়। এই লকডাউনের সময়ে সবাই মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গবেষকরা বলছেন, সেক্সের পর আমাদের মানসিক অবসাদ বাড়বে। কারণ আবেগের বশে একবার যৌন সম্পর্ক হয়ে গেলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ভাবিয়ে তুলবে সব সময়।