মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ আসন্ন কোরবানির ঈদে বাংলাদেশে কোরবানির জন্য পালন করা রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার ৫ নং ঝালুকা ইউনিয়নের আনদুয়া গ্রামের সব চেয়ে বড় গরু হচ্ছে নজরুল স্যারের ৮০০ কেজি ওজনের ষাঁড় রাজশাহীর কিং।
সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে রাজশাহীর কিং লালন পালন হচ্ছে রাজার মত। রাজশাহীর কিং থাকার ঘরে লাগলো হয়েছে ৩টি ফ্যান, ২৪ ঘন্টা ২ বার করানো হচ্ছে গোছল, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে ১০ কেজি ভূসি, ৪ হালি কলা, আম, কাঠাল, নিপিয়ার ঘাস, কয়েকটি বেল ও ডাব দিয়ে বানানো শরবত ইত্যাদি।
এই ষাঁড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখছে চিকিৎসক।রাজশাহীর কিং দেখতে প্রতিদিন রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলের শতশত মানুষ রাজশাহী দূর্গাপুর উপজেলার ৫ নং ঝালুকা ইউনিয়নের আনদুয়া গ্রামের নজরুল স্যারের নিজ বাড়িতে ভিড় করছে।
এতো বড় গরু পালন করে ব্যাপক প্রচার পেলেও গরুটি বিক্রি নিয়ে চিন্তায় পরেছে এর মালিক নজরুল । ক্রেতারা এ বছর রাজশাহীর কিং দাম বলেছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, কিন্ত নজরুল স্যার ৫ লাখ টাকার উপরে দাম অাশা করেছিল। কাঙ্খিত মুল্য পাবে বলে অাশা করছেন।
নজরুল জানিয়েছে রাজশাহীর কিং বর্তমান বয়স ৪ বছর। ৬ দাঁতের ওই ষাঁড়ের আকার ও ওজন পরিমাপ করেছেন তিনি। এতে দেখা যায়, গরুটির উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, লম্বা ৮ ফুট, বুকের পরিমাপ ৭ ফুট, মুখ চওড়া ২ ফুট ১ ইঞ্চি, গলার বেড় ৩ ফুট, শিং ১ ফুট লম্বা, লেজের দৈর্ঘ্য ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন ৮০০ কেজি ।
রাজশাহীর কিং পালন কারী নজরুল স্যার জানায়, প্রতিদিন রাজশাহীর কিং জন্য তার খরচ প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ শত টাকা।
নজরুল স্যারের স্ত্রী জানায়, বিশাল আকারের এই ষাঁড়ের পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। দিনে কমপক্ষে ২/৩ বার গোসল করাতে হয়। সারা দিন ৩টি বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে হয়। কারেন্ট না থাকলে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। সারা দিনই চলে গরুর যত্ন। তাদের বাড়িতে আরও ৩টি গরু আছে সেগুলোর যত্ন নেওয়াই দায়। এবার যেন বাড়ি থেকেই গরুটি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারি সেটাই আশা করছি।