স্পোর্টস ডেস্ক : লকডাউনের মাঝে নিজ বাড়ীতেই শরীর চর্চা করেছেন ক্রিকেটাররা। যেখানে ছিল না পর্যাপ্ত সরঞ্জাম। তারপরও নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তারা। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিও খেলোয়াড়দের সহায়তা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছে। ঘরের মধ্যেই তাদের অনুশীলন যাতে সহজ হয় সেই লক্ষে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও সরবরাহ করা হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে।
এদিকে বিসিবির ক্রিকেট অপেরাশেন্স বিভাগ খেলোয়াড়দের নিয়ে নিয়মিতভাবেই আয়োজন করেছে ভার্চুয়াল মিটিং। যেখানে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গা, জাতীয় দলের অন্যান্য কোচরা অংশ নিতেন। এছাড়া টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা ভাবে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ সেশন। সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য মনোনীত বর্তমান সময়ের টেস্ট ক্রিকেটাররাও অংশ নিয়েছেন বলে বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন সেশনটির মাধ্যমে তারা লাভবান হয়েছেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের উজ্জীবিত করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা মাঠে ফিরতে চাই। অনুশীলন ও খেলতে না পারার হতাশার মত অন্য কোন কিছুই একজন ক্রিকেটারের জন্য আর হতে পারে না। যে কারণে এই বৈঠকটি সত্যিই আমাদের আবারো ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগী হতে সহায়তা করেছে।’
মুমিনুল আরো বলেন, ‘সিনিয়র থেকে নবাগত, সব খেলোয়াড়রাই সেখানে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। যা মানষিক হতাশা কাটাতে দারুন সহায়তা করেছে। আমাদের টেস্ট পারফর্মেন্স নিয়ে বিশ্লেষন হয়েছে। আমরাও সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে কি শিক্ষা পেয়েছি তা ব্যক্ত করেছি। নিজের খেলা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার পর্যপ্ত সময় খেলোয়াড়রা পেয়েছে বলে আমি মনে করি। তারা বুঝতে পারছেন কি কি করতে হবে।’
তরুণ অল রাউন্ডার আফিফ হোসেন মনে করেন কোচ ও সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে এই আলোচনায় কিছু নির্দেশনাও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম খেলোয়াড়দের দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন। এগিয়ে যাবার জন্য আমাদের উপর নিজের প্রত্যাশার কথাও উল্লেখ করেছেন। আমাদের খেলা নিয়ে যে ভিডিও বিশ্লেষণটা করা হয়েছে সেটি আমাদের অনেক উপকার দেবে।’