ডেস্ক নিউজ : পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সোমবার তার দাফন সম্পন্ন হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। এদিকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খান নিহতের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি আজ মঙ্গলবার থেকে তদন্ত কাজ শুরু করবে।
এদিকে তার মৃত্যুর পর প্রথমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাহজাহান আলিকে প্রধান করে তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা পুনর্গঠন করা হয়েছে।
২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুনর্গঠন করা কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে। পুনর্গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির একজন প্রতিনিধি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
সাবেক মেজর (অব.) সিনহা ২০১৮ সালে স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। তিনি অর্থমন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ খানের ছেলে। গত ৩ জুলাই স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজারে যান। ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের একটি পাহাড়ি এলাকায় শুটিং শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।