শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বানিয়াপাড়া রাস্তায় ৮ বছরেও নির্মিত হয়নি ব্রীজ। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী হাজারও মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া হয়ে শেরপুর সদর উপজেলার কুড়ালিয়াকান্দা ও গাজীর খামার রাস্তায় প্রতিদিন শত শত মানুষের যাতায়াত করে থাকে। এ রাস্তার বানিয়াপাড়ায় ভাঙ্গা অংশ পারাপারে শত শত মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। পথচারীদের দূর্ভোগ লাঘবে ২০১১-১২ অর্থবছরে ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রণালয় ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মান করে।
জানা যায়, আল-বেরুনী কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ ব্রিজটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতাসহ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি নির্মাণে নিম্নমানের ও প্রয়োজনের তুলনায় কম সামগ্রী ব্যবহার করে। ফলে নির্মাণের ২ বছর যেতে না যেতেই ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে পরে। এতে মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সাথে শেরপুর সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু গত ৮ বছরেও এখানে আর কোন ব্রীজ নির্মান করা হয়নি। বিধ্বস্ত সেতুর উপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে চলাচল করছে গ্রামবাসীরা। এতে মাঝে মধ্যেই ওই সাঁকোতে যাতায়াত করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক, বানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম, জলিল মিয়াসহ গ্রামবাসীরা জানান, ব্রিজটি বিধ্বস্ত হওয়ায় এ পথে যাতায়াতকারী প্রায় ২০টি গ্রামের শত শত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদী পশু পারাপারে চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ওই ব্রীজের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটির কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এখানে ব্রীজ নির্মান করা সম্ভব হচ্ছে না।