মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১ মাসে করোনায় মৃত্যুর চেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি

নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে কার্যত লকডাউন চলছে। গণপরিবহণ বন্ধ, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ফার্মেসি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ মানুষের চলাচল সীমিত করতে বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। তাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। এর মধ্যেও বন্ধ হয়নি সড়ক ‍দুর্ঘটনা।

এ পর্যন্ত করোনায় যতজনের মৃত্যু হয়েছে, গত এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় এর চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত এক মাসে শুধু সড়ক দুর্ঘটনাতেই নিহত হয়েছেন ২১১ জন। এর মধ্যে আরও ২২৭ জন আহত হয়েছেন। একই সময় নৌ-পথে ৮টি দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, ২ জন আহত এবং ২জন নিখোঁজ হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

রোববার (৩ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কোনো কিছুই থামাতে পারছে না সড়ক দুর্ঘটনা। গত ২৬ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী পরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও লকডাউনের এক মাসে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে ২১১ জন নিহত ও ২২৭ জন আহত হয়েছেন। একই সময় নৌ-পথে ৮টি দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, ২ জন আহত এবং ২জন নিখোঁজ হয়েছেন।’

তিনি জানান, এই মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৬৯ জন পথচারী, ৬৭ জন চালক, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন শিক্ষক, ৪৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২৭ জন নারী, ২১ জন শিশু, একজন সাংবাদিক এবং একজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বলে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

এরমধ্যে নিহত হয়েছেন ৫০ জন চালক, ৬৪ জন পথচারী, ২২ জন নারী, ১২ জন শিক্ষার্থী, ২০ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৮ জন শিশু, একজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৩ জন শিক্ষক ও একজন সাংবাদিক।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ৯৭টি দুর্ঘটনা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৬৩টি দুর্ঘটনা মোটরসাইকেল, ২৯টি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ২৮টি নসিমন ও করিমন, ২২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১৭টি প্রাইভেট কার এবং একটি বাস এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ২৩ এপ্রিল। ওইদিনে ১৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৯ এপ্রিল। ওইদিন ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১জন নিহত হয়।

এই বিভাগের আরো খবর