ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ ল্যাবরেটরির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিএনএ ব্যাংক নামে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইডির এ ফরেনসিক ল্যাবরেটরিটি।
বুধবার (১০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডি জানায়, ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সিআইডির এই ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ল্যাবরেটরি ধর্ষণ, অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরণ, পিতৃত্ব বিরোধ/মা, ডাকাতি, হত্যাসহ প্রায় ৬ হাজার মামলার বিপরীতে ১৬ হাজারেরও বেশি আলামত সংগ্রহ করে তারা। তার মধ্যে ২০ হাজার ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়েছে যা ল্যাবরেটরি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম- এলআইএমএসের সার্ভারে সংরক্ষিত আছে।
তারা জানায়, ডিএনএ ব্যাংক বলতে বোঝায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত প্রতিটি ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইল করা। ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মোট সংগৃহীত মামলার সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। ডিএনএ ব্যাংকে সংরক্ষিত অপরাধীদের প্রোফাইল পরবর্তীতে ওই একই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১৫ হাজার প্রোফাইল ডিএনএ ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। যার মাধ্যমে পরবর্তিতে খুব সহজেই সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব।
ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত অপরাধীদের ডিএনএ প্রোফাইল তদন্ত কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা সংক্রান্ত সব আলামতের বিশ্লেষণ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে হয়ে থাকে। আজ পর্যন্ত ডিএনএ ল্যাব সিআইডির সহায়তায় বাংলাদেশ পুলিশ অসংখ্য ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা সমাধান করতে সফল হয়েছে।
বর্তমানে এ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব দেশের বিভিন্ন কোর্ট, থানা থেকে আগত মামলা গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করে। ডিএনএ ডাটাবেজে সংরক্ষিত ডিএনএ প্রোফাইলসমূহ বিশ্লেষণ করে নিখোঁজ বা অজ্ঞাত কোনো ব্যক্তিকে শনাক্তকরণ সম্ভব হয়, যদি অজ্ঞাত বা নিখোঁজ ব্যক্তির দাবিদার কিংবা আত্মীয়-স্বজন পাওয়া যায়।