ডেস্ক নিউজ : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়মিত আদালত না খুলে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের সব আদালতে বিচার কাজ পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এ বিষয়ে সোমবার রাতে পৃথক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর আগে ৩০ মে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১৫ জুন পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কাজ চলবে। ৩০ মে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে ১১টি বেঞ্চ গঠনের কথা জানালেও এবার আরও দু’টি বেঞ্চ বাড়ানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে এবং শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া আগামী ১৬ জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ‘আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এবং সুপ্রিম কোর্টের জারি করা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো (১৩টি) গঠন করেছেন। অধস্তন আদালতের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারী রোধকল্পে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারকার্য পরিচালনার লক্ষ্যে ‘আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’-এর ৫ ধারার ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে গত ৩০ মে জারি করা সার্কুলারের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে দিন প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি। এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এর দুইদিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।