শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদীতে নববধূ ছোটভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে ভাসুর রফিকুল (২৫)করে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ১৭ জুন বুধবার উপজেলার পোড়াগড় গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়ে। রফিকুল ওই গ্রামের আফসর আলীর ছেলে।
এব্যাপারে ওই নববধূ বাদি হয়ে ধর্ষন ও নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী,শশুড়,শাশুড়ি ও স্বামীর বড়ভাইকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্হানীয়বাসিন্দারা জানান,পোড়াগড় গ্রামের আফসর আলীর দ্বিতীয় ছেলে শামীম (২০) একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে (১৮) এর সাথে প্রেম করে পালিয়ে গত জানুয়ারী মাসে তাদের বিয়ে হয়। বিয়েরপর শামীম তার স্ত্রীকে নিজবাড়িতে এনে রাখলেও মেনে নেয়নি তার অভিবাবকরা।
ফলে বিয়ের পর থেকেই ওই নববধুর উপর নেমে আসে তার স্বামী,শশুড়, শাশুড়ি ও ভাসুরের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন।
গত২৮মে রাতে ওই নববধূর ভাসুর শামীমের বড়ভাই রফিকুল কৌশলে নববধূকে ধর্ষন করে। শুধু তাই নয়। ধর্ষনের পর থেকেই ধর্ষিতা নববধূকে আটকে রাখা হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে ধর্ষিতা নববধূর উপর চালানো হয় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন।পরে ১৬জুন মঙ্গলবার ধর্ষিতা ওই নববধু কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। ১৭ জুন বুধবার ধর্ষিতা নববধূ বাদি হয়ে তার স্বামী শামীম,শশুর আফসর আলী,শ্বাশুরি উমেছা বেগম,ও ভাসুর রফিকুলকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন রফিকুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষিতা নববধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।