ডেস্ক নিউজ : সরকারের অনুমতি নিয়ে আপাতত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন না। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বেগম জিয়ার চিকিৎসা ও তাকে লন্ডনে যাওয়ার বিষয়ে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তাকে ভিত্তিহীন, অনাকাঙ্ক্ষিত বলে দাবি করেছে স্থায়ী কমিটি।
বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে লন্ডন থেকে সংযুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চেয়ারপারসনকে নিয়ে কিছু কিছু জায়গায় অসত্য খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি লন্ডন যাবেন বলে বলা হচ্ছে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানলাম না আর সেইসব মিডিয়ার লোকেরা জানল। এটা তার পরিবারের বিষয়। তবে পরিবার থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে তা আমরা অবশ্যই জানব।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কিছু শুনিনি। জানিও না। তবে এটা তো ঠিক যে উনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এবং তার উন্নত চিকিৎসা জরুরি।
এদিকে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দরও গণমাধ্যমে প্রচারিত লন্ডন যাওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “ম্যাডাম ও তার পরিবার তো উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে চাইবেন। কারণ মুক্তির উদ্দেশ্যই ছিল উন্নততর চিকিৎসা, সেটা তো সফল হয়নি। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের মনোভাব তথা হিসাব-নিকাশের ওপর। সরকার চাইলে সব কিছু পারে। আমি মনে করি, ম্যাডাম যদি যেতে চান, তবে বিশেষ বিমানে করে তাকে যেতে দেওয়া উচিত। তবে তিনি যাবেন কি না, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ৬ মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে সাজা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির পর সেদিন গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন খালেদা জিয়া।