ডেস্ক নিউজ : সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোন দেশ এবারের হজে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। বলা হয়েছে, এক হাজার মানুষ অংশ নিতে পারবে এবারের হজে। এই সীমিত আকারের হজে কিছু নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। খবর বিবিসি’র
১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এবারের হজ। এই সময়ে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদির সরকার। কারণ নতুন করে দেশটিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাজীদের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থায় এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সৌদি আরবের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এবার যারা হজ করবেন তারা কাবা ঘর ও হজরে আসওয়াদ ছুঁতে পারবেন না। পাথর নিক্ষেপের যে রীতি আছে সেখানে বিশেষ ধরনের পাথর ব্যবহার করতে হবে।
হজের বিশেষ অনুমতি ছাড়া ১৯ জুলাই থেকে হজের পঞ্চম দিনের আনুষ্ঠানিকতা পর্যন্ত কেউই মিনা, মুজদালিফাহ ও আরাফাতে যেতে পারবেন না।
যদি কারো মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়, তবে তার হজের বাকি আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর করবে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণের ওপর। উপসর্গ যদি বেশি হয় তাহলে হজে অংশ নিতে দেয়া হবে না তাকে।
হাজিদের জন্য আলাদা ভবন, পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হবে। সকল হাজিদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সুবিশাল মসজিদুল হারাম শরীফের সকল ফ্রিজ সরিয়ে নেয়া হবে, যার যার ব্যক্তিগত পানির পাত্রে পানি নিয়ে পান করতে হবে। আলাদা আলাদা খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।
যে তাঁবুর নিচে হাজিরা অবস্থান করবেন, সেখানে প্রতি ৫০ বর্গমিটারে ১০ জনের বেশি থাকা যাবে না।
উল্লেখ্য, বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৫ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯১৬ জনের।