বুধবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে দশটি সূরা দশটি বিপদ থেকে আপনাকে বাঁচাবে

যে দশটি সূরা আপনাকে দশটি বিপদ থেকে বাঁচাবে। আল্লাহ মানুষকে বিভিন্ন সময় নানা রকম বিপদে ফেলে পরীক্ষা করে থাকে। আল্লাহ মানুষকে শুধু ইহকালে নয় পরকালেও পাপের শাস্তি দেবেন।

আল কোরআনে ইহকালের বিপদ কিংবা পরকালের শাস্তির হাত থেকে তৎক্ষণাত রক্ষা পাওয়ার উপায় বলে দেয়া আছে। কোরআনের এমন দশটি সূরা আছে যেগুলো বিপদে পড়ার পর পাঠ করলে আপনি রক্ষা পাবেন আল্লাহর রহমতে। সূরা গুলো নিম্নরূপ-

  • সূরা মূলক কবরের আযাব হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা কাওসার শত্রুর অনিষ্ট হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা কাফিরুন মৃত্যুর সময় কুফরী হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ইখলাস মুনাফিকী হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ফালাক হিংসুকের হিংসার হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা নাস যাবতীয় ওয়াসাওয়াসা হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ফতিহা আল্লাহর গজব হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ইয়াসীন কিয়ামতের দিন পিপার্সাত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
  • সূরা দুখান কিয়ামতের দিনের ভয়াল অবস্থা হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ওয়াকি’আ দরিদ্রতা হতে রক্ষা করবে।

একমাত্র আল্লাহর সত্য বানী আল কোরআনই পারে সকল মুসলিমদের রক্ষা করতে। সকলে আমল গুলো করার চেষ্টা করুন, আল্লাহ্‌ আপনাকে রক্ষা করবেন ইনশাল্লাহ্।

সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। মুসলমানেরা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে মরিয়া হয়ে মনোযোগের সহিত ইবাদত করে।

নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। নামাজের মধ্যে এমন একটি দোয়া রয়েছে যেটা পাঠ করলে ফেরেশতারা ওই পাঠকারীর জন্য সওয়াব লেখার প্রতিযোগিতা শুরু করে।

নিচের হাদিসটি পরুন এবং দুয়াটি মুখুস্থ করে আমল করুন:

আবূদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা (রহঃ) রিফা’আ ইবনু রিফি’ যুরাকী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এবার আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম।

তিনি যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ বললেন, তখন পিছন থেকে এক সাহাবী ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসিরান তাইয়িবান মুবারাকান ফিহ’ বললেন। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কে এরূপ বলেছিল? সে সাহাবী বললেন, আমি।

তখন তিনি বললেনঃ আমি দেখলাম ত্রিশ জনের বেশী ফিরিশতা এর সাওয়াব কে আগে লিখবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। (সহিহ বুখারি:৭৬৩)

এই বিভাগের আরো খবর