কথায় আছে, ‘পেট ঠাণ্ডা তো দুনিয়া ঠাণ্ডা’। কিন্তু গরম গরম সিঙ্গারা, পুরি দেখলে কি আর নিজেকে সামলানো যায়! মুহূর্তের মধ্যেই ৪-৫ টি সিঙ্গারা খেয়ে এখন পেটে হাত? তা তো হবেই। গ্যাস্ট্রিক হলে কি আর রক্ষা আছে! যার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে একমাত্র সেই বুঝতে পারে যে খাবার গ্রহণও ঝামেলার হতে পারে। বুকে জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি সৃষ্টি হওয়ার ফলে না খেয়ে থাকতেও ভালো লাগেনা আবার খেতেও ভালো লাগেনা। এই উভয় সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
দারুচিনি:
এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে এক চামচ দারুচিনির গুঁড়া ভালো করে গুলিয়ে পান করুন। সাথে মধুও মেশাতে পারেন। অথবা এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ দারুচিনির গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিন। ২-৩ মিনিট পরে পান করুন।
আদা:
প্রত্যেক বেলার প্রধান খাবার গ্রহণের পরে তাজা ছোট এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা আদা চা খেতে পারেন। কয়েক টুকরা আদা পানির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে আদা চা তৈরি করা হয়। দিনে ২-৩ বার আদা চা খেলে গ্যাস কমে যায়।
ঘোল:
ঘোল খেলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায়।
বেকিং সোডা ও লেবু:
একটি গ্লাসে অল্প পরিমাণ তাজা লেবুর রসের মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ঢেলে দিন। মিশ্রণটি জমে গেলে তার উপর পানি এবং আর একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে ভালভাবে গুলিয়ে নিন। আস্তে আস্তে মিশ্রণটি পান করুন। খালি পেটে এক গ্লাস পানির মধ্যে সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
রসুন:
রসুনের সুপ খেলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায় এবং হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কিছু পরিমাণ রসুন পিষে পানিতে মিশিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ফোটান। এর সাথে গোলমরিচ এবং জিরা মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হলে মিশ্রণটি পান করুন। এভাবে দিনে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করতে থাকলে গ্যাস্ট্রিক কমে আসবে।
মৌরি:
চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা গরম পানির মধ্যে কিছু পরিমাণ মৌরি মিশিয়ে ৫ মিনিট ধরে ঠাণ্ডা করুন। ৫ মিনিট পরে পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এলাচ:
খাবারের মধ্যে অর্থাৎ শাকসবজি, ভাত, ডাল ইত্যাদির ভেতর পোড়ানো এলাচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এতে গ্যাস দূর হয়ে যায়।