ডেস্ক নিউজ : আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। এবারের বাঘ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বাঘ বাড়াতে করি পণ, রক্ষা করি সুন্দরবন’। বর্তমানে বাংলাদেশসহ মাত্র ১৩টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। সারা বিশ্বে বন উজাড়, শিকারি ও পাচারকারীদের কারণে বাঘ মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর বাঘ দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হচ্ছে দিবসটির।
দেশে বাঘের একমাত্র আবাসস্থল সুন্দরবনে চোরা শিকারি চক্র এবং জলদস্যু-বনদস্যুদের তৎপরতার কারণে কয়েক বছর আগেও অনেকটা হুমকির মুখে ছিল বাঘ। বাঘকে নিরাপত্তা দিতে বন বিভাগ নানা পরিকল্পনা নিয়ে ‘বাঘ সংরক্ষণ’ নামে একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। এটি আগামী আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঘ রক্ষায় দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় ‘বাঘ সংরক্ষণ’ নামে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন পেলে আগামী বছরের (২০২১ সালের) জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে।
প্রকল্পের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে বড় বড় নদীর কারণে বাঘ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য ওই প্রকল্পে সুন্দরবনের মধ্যে এক স্থান থেকে বাঘ সরিয়ে অন্য স্থানে নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ জন্য বাঘ স্থানান্তর হলে প্রজননের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে প্রতি দুই বছর পরপর বাঘ জরিপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বাঘের খাবার হরিণ এবং বন্য শূকর জরিপেরও প্রস্তাব রয়েছে।
বন বিভাগ সূত্র আরও বলছে, গত ১০০ বছরে বিশ্বের নানা বনাঞ্চল থেকে বাঘের সংখ্যা এক লাখ থেকে কমে চার হাজারেরও নিচে দাঁড়িয়েছে। বাঘের আট উপপ্রজাতির মধ্যে এরই মধ্যে তিনটি বিশ্ব থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।