ডেস্ক নিউজ : সোনার বাজার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থায় থাকে। কখনও সোনার বাজার চড়া থাকে আবার কখনও থাকে নিম্নমুখি। বিনিয়োগের জন্য এক হাত থেকে ভিন্ন হাতে যায় এ ধাতু। সংস্থা গোল্ড প্রাইস আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণে কাজ করছে।
তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একদিন নিম্নমুখী থাকার পর আজ শুক্রবার আবারও উর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এসেছে উজ্জ্বল স্বর্ন। আজ বিকেল পর্যন্ত বেচাকেনার রেকর্ডে দেখা যায় প্রতি আউন্স সোনার দাম উঠেছিল ১৯৭৪ ডলারের বেশি। এই দাম উত্থান-পতনের চলমান বাজারে গেল বুধবারের রেকর্ড করা দাম ১৯৬৯.১২ ডলারের চেয়ে প্রায় ৫ ডলার বেশি। দেখার বিষয় সবশেষ কত ডলারে শুক্রবারের বেচাকেনা শেষ হয় সোনার বাজারে। চলতি বছরেই বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে যখন উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে তখন সোনার ওপর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে। কারণ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনা সব সময়ই নিরাপদ। আর এতেই রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙে দাম বাড়ছে সোনার।
গত ২৭ জুলাই ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স সমান ২৮.৩৫ গ্রাম) সোনার দাম ওঠে ১৯৪৪ ডলারের বেশি। এর আগে ২০১১ সালে প্রতি আউন্স সোনার দাম উঠেছিল ১৯২১ ডলার পর্যন্ত। এরপর থেকে রেকর্ড ভেঙেই দাম বাড়তে থাকে সোনার। মঙ্গলবার প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ১৪ ডলারের বেশি। দিনবাপী ওঠানামার মধ্যে বেচাকেনা শেষে সেদিন এই ধাতুর দাম ঠেকে ১৯৫৮.১১ ডলারে।
তবে এর পরদিন আর নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি বাজারে দাপট দেখানো সোনা। বুধবার সারাদিনই অনেকটা পড়তি দামে হাত বদল হয় করোনাকালে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের এই ধাতুটি। তবে দিন শেষ করে ঠিকই শক্ত অবস্থানের জানান দিয়ে, প্রতি আউন্সের দাম উঠে ১৯৬৯.১২ ডলার। তবে এর পরদিন আর বাজারে উত্থান হয়নি দাম পড়তির মুখে পড়া ধাতুটির। কদর হারানোর মধ্য দিয়েই বেচাকেনা চলে। বৃহস্পতিবার পড়তির বাজারে দিন শেষে মূল্যবান এই ধাতুর দাম ঠেকে ১৯৫৭.০৮ ডলারে। আগের দিনের সর্বোচ্চ দামের চেয়ে যা ১২.০৪ ডলার কম।