ডেস্ক নিউজ : আজ মঙ্গলবার সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী। এ দিনটিতে সকল হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করে থাকেন। প্রতি বছর সভা সমাবেশ, শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। মূলত বিষ্ণুর অবতার হিসাবে শ্রীকৃষ্ণকেই দেখা হয়।
কৃষ্ণের পুজায় মাতার আগে এই জন্মাষ্টমী নিয়ে জেনে নিন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
প্রথম তথ্য :
কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে জন্মাষ্টমী তিথি পালিত হয়। মনে করা হয়, ৩২২৮ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ১৯ জুলাই ভগবান কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তিনি যাদব বংশের অবতার।
দ্বিতীয় তথ্য :
কৃষ্ণ শব্দের সংষ্কৃত অর্থ হল কালো। কৃষ্ণের মূর্তিগুলিতে তাঁর গায়ের রং সাধারণত কালো এবং ছবিগুলিতে নীল দেখানো হয়ে থাকে। তার রেশমি ধুতিটি সাধারণত হলুদ রঙের এবং মাথার মুকুটে একটি ময়ূরপুচ্ছ শোভা পায়। কৃষ্ণের প্রচলিত মূর্তিগুলিতে সাধারণত তাকে বংশীবাদক এক বালকের বেশে দেখা যায়।
তৃতীয় তথ্য :
রাখী বন্ধনের ঠিক ৮ দিন পরে সারা ভারতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হয়। দক্ষিণ ভারতেও পালন করা হয় গোকুলাষ্টমী। মহারাষ্ট্রে এই উৎসব পালিত হয় দহি হান্ডি ফাটিয়ে।
চতুর্থ তথ্য :
শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উৎসব সবচেয়ে বড় করে হয়।
পঞ্চম তথ্য :
শ্রীকৃষ্ণের মোট ১০৮টি নাম রয়েছে। মথুরায় কমপক্ষে ৪০০টি মন্দির রয়েছে। যেখানের প্রত্যেকটি মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা হয়।
ষষ্ঠ তথ্য :
কৃষ্ণের নাম নিয়ে যে নৃত্য রয়েছে তার নাম রাসলীলা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পরাস্ত করতে অর্জুনকে যে কথা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, সেই কৃষ্ণের বাণী শ্রীমদ্ভগবত গীতা নামে পরিচিত।