আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার ঊর্ধ্বমুখী তাণ্ডবে প্রাণহানির মিছিল দীর্ঘ হয়েই চলেছে আমেরিকায়। একদিন আগে আক্রান্তের তুলনায় বেশি সুস্থতা লাভ করলেও ফের পুরনো চিত্রে ফিরে গেছে দেশটির করোনা পরিস্থিতি। যাতে নতুন করে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এতে করে আক্রান্ত সাড়ে ৫৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩০ লাখ রোগী সুস্থতা লাভ করলেও পৃথিবী ছেড়েছেন পৌনে ২ লাখ আমেরিকান।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা হানা দিয়েছে ৪৪ হাজার মানুষের দেহে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে প্রাণ ঝরেছে ১ হাজার ৩৫৮ জনের। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে, গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ৩৭ হাজার ৫১১ জন। যেখানে পুনরুদ্ধার হওয়ার সংখ্যা ৩০ লাখ ১১ হাজার ৯৮ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এখন ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৬ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫২২ জনের।
ফ্লোরিডায় সংক্রমণ এক লাফে ৫ লাখ ৮০ হাজার। ইতোমধ্যে সেখানে ৯ হাজার ৭৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৯ হাজারের অধিক। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১০ হাজার ২৯৮ জনের।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ সাড়ে ৫৭ হাজার। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজারের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৪ হাজার ৭৯৪ জন মানুষের।
ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ ১১ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৯৯৩ জন।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৩০ জনের। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি।
এছাড়া, অ্যারিজোনা, ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।