ডেস্ক নিউজ : রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে আবারো রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৯ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। দুদকের জনসংযোগ (পরিচালক) কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ আত্মসাতের মামলায় গত ১৭ আগস্ট রিমান্ডে প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও অসুস্থতা দাবি করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া চেকআপের জন্য।দুই দফা ইসিজি, এক্সরে, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, হার্ডবিট ও প্রেসার চেক করে কোনো রিপোর্টেই কিছু ধরা পড়েনি।
ফারমার্স ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গত ১০ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস সাত দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাহেদের। গত ২৭ জুলাই সাহেদ ও বাবুল চিশতীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য পদ্মা ব্যাংক বা সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এমআরআই মেশিন ক্রয়ের জন্য দুই কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন মো. সাহেদ। অথচ ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও ক্রেডিট রিক্স গ্রেডিং নিরুপন না করেই ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল হক চিশতী ঋণ অনুমোদন করে। যা পরবর্তীতে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারির ২১তম সভায় সাহেদের অনুকূলে দুই কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন হয়। পে-অর্ডারের মাধ্যমে এবং এমআরআই মেশিন ক্রয় করা হয়েছে এমন জাল কাগজপত্র দেখিয়ে ২১ জানুয়ারি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মহিলা শাখার মাধ্যমে দুই কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়।
তবে শর্তানুযায়ী এক কোটি টাকার এফডিআর করতে হয় সাহেদকে। ঋণ নেওয়ার পর কোনো কিস্তি পরিশাধ না করায় ঋণ হিসাবটি অনিয়মিত হওয়ার কারণে ব্যাংকের নিকট লিয়েন থাকা ওই এফডিআর থেকে এক কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়। আর বাকি ১ কোটি টাকা আনাদায়ী থেকে যায় বা আত্মসাৎ হয়। যা সুদাসলসহ ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে।
সুত্র : রাইজিংবিডি