মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ঘটনায় ঠিকাদার ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শনিবার(২২ শে আগস্ট) স্থানীয় প্রভাবশালী ও শিক্ষককে ম্যানেজ করে তড়িঘড়ি করে ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে।
নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে এক স্থানীয় যুবক জানান,স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোটা অংকের টাকা খেয়ে পুনরায় ছাদ ঢালাই এর অনুমতি দিয়েছে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহেদুল করীমের রহস্য জনক ভুমিকা পালন করছে।
তবে এ ঘটনায় মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় প্রধান শিক্ষা প্রকৌশলী বরাবর এলাকাবাসির পক্ষ থেকে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী সহ অভিযুক্তদের লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানা গেছে।
মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন,নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক ছাদ ঢালাই শেষ করা হয়েছে। ঠিকাদার কিংবা দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না জানিনা।
মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহেদুল করীম বলেন,স্থানীয় ছেলেরা রাতে ছাদে বসে থাকে এ নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনের ঝামেলা তৈরি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। পরে সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কাজ শেষ করা হয়েছে।
সভাপতি,প্রধান শিক্ষক,ঠিকাদারের ম্যানেজার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেও তিনি দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলীর গাইতে শুরু করেন তিনি।
স্থানীয়দের দাবি অনিয়ম আড়াল করতে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহেদুল করীম মিথ্যাচার করছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী,শিক্ষামন্ত্রী, প্রধান শিক্ষা প্রকৌশলী বরাবর এলাকাবাসির পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করা হবে।
কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: খবির উদ্দীন জানান,সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সঠিক ভাবে কাজ করেছে। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বৃহস্পতিবার কাজ করেছে। একারনে শিক্ষক ও এলাকাবাসি কাজ বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য : ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যাদেশ পায় কুষ্টিয়ার আনোয়ার আলী নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেনের ছেলে তনু।নিম্নমানের বালি দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর নির্মান কাজ বন্ধ করে শিক্ষক সহ এলাকাবাসি।