মাধবদী প্রতিনিধি, নরসিংদীঃ নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীণ কান্দাইল রশিদের বাড়ি গ্রামে ১৮ নভেম্বর বুধবার বেলা ৩:৩০ ঘটিকার দিকে রান্না ঘর মেরামতকে কেন্দ্র করে এক সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এতে করে মা-বাবা সহ অপর তিন ভাই আহত হয়। ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, মা রেজিয়া বেগম তার রান্না ঘর মেরারত করতে কাঠ মিস্ত্রী ডাকলে মিস্ত্রী কাজ করার এক সময় নিজ কুলাঙ্গার সন্তান দেলোয়ার হোসেন ভূট্টো তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘরের বেড়া,চাল, পাল্লা, কাঠ সব ভেঙ্গে ফেলে ও মিস্ত্রীকে মারধর করে কাজ বন্ধ করে চলে যেতে। এ সময় ঘটনার আঁচ পেয়ে মা ও বাবা ঘর হতে এসে দেলোয়ারকে ভাঙ্গচূড়ে বাঁধা দিলে দেলোয়ার তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে দেয় ও গালাগালি করতে করতে কাজের সরন্জাম ভাঙ্গচূর করে। এসময় বাবা মা পূনরায় বাঁধা দিলে আবারো তাদের মারতে আসে নিজ সন্তান দেলোয়ার ও তার বাহিনী। খবর পেয়ে পরিবারের অন্য তিন ভাই এসে উপস্থিত হলে দেলোয়ারের হুকুমে তার বাহিনী ও দেলোয়ার মিলে তিন ভাই ও বাবা মায়ের উপর হামলা করলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে করে বাবা মা সহ অন্য তিন ভাই কামাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম ফোলা যখমি আহত হয় ও মলি হোসেন রক্তাক্ত যখম হয়। তারা বলেন, দেলোয়ার হোসেন ভূট্টো পরিবারের বিরুদ্ধে চলাচল করে ও নিজ বাবা মাকে অস্বীকার করে। বাবা মায়ের সহায় সম্পত্তি যবর দখল করতে ভূয়া দলিল বানিয়ে পুরো বাড়ি তার দাবি করে পরিবারের অন্য কাউকে বাড়িতে ঘর বা কোন প্রকার নির্মান কাজ করতে দেয়না এমনকি পুরোনা নড়বড়ে হয়ে যাওয়া রান্না ঘরকে মেরামত করতে গেলে তাও দিচ্ছেনা।পৈত্রিক এ বাড়িটি সে ও আরেক ভাই এমরান দুজনে মিলে ভোগ দখলের চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন ভূইয়া রিপনকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্যে যে, গত চার পাঁচ বছর ধরে সংসারের মেঝো ছেলে সম্পদলোভী দেলোয়ার হোসেন ওরফে ভূট্টো ও বড় ছেলে এমরান হোসেন পরিবার হতে অর্থ সম্পত্তি বেশী পরিমান চেয়ে কিছু দুঃষ্কৃতিকারী ও দুষ্টুলোকের কূপরামর্শে পরিবারে বিশৃঙ্খলা করে আসছিল। পরিবারের কোনো সদস্য তাদের এ অন্যায্য দাবি না মানলে পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে রাস্তা ঘাট বাজার বন্দরে নিজ জন্মদাতা মা-বাবা সহ পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যে বানোয়াট তথ্য অকথ্য ভাষায় গালা গালি করা ও কুৎসা রটনা করে পরিবারের মান হানী করতে থাকে এবং বাবা মা কেনো তাদেরকে তাদের দাবীকৃত অতিরিক্ত সম্পত্তি লিখে দেয়না তার জন্য মা-বাবা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।মা বাবাকে মারতে রুল (লাঠি) কিনে এনে সবাই দেখিয়ে মাথা ফাঁটানোর হুমকি দেয়। তারা এতটাই অত্যাচারি হয়ে উঠে যে, একটা সময় পুরো বাড়ি ঘর ও জমিজমা যবর দখলের মাধ্যমে নিজেদের আয়ত্বে নিতে দেলোয়ার তার নামে ভূয়া দলিল বানায়।এমনকি অপর এক ভাই মোঃ আলী হোসেন ভূইয়ার অর্থায়নে কেনা ও ছোট ভাই আরিফুল ইসলামের রেজিঃকৃত একটি সিএনজি অটোরিকশাকে দেলোয়ারের পরামর্শে বড় ছেলে এমরান হোসেন জাল জালিয়াতি করে নিজ নামে করে নেয়। যাহা পরবর্তিতে বি আর টি এ অফিসে আবেদন করলে তদন্তের মাধ্যমে পুনরায় আরিফুল ইসলামের নামে রেজিঃ বহাল করা হয়। তাদের দুজনের বসবাস ও রান্না করার রুম সহ তিনটি চারটি করে রুম থাকলেও নিজ ছোট দুজন ভাই যাদের থাকার ঘর নেই তাদেরকে ঘর করতে দেয়না। বরং ছোট দুই ভাইকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করতে থাকে।
এসবের প্রতিকার চেয়ে পরপর দুটি সামাজিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নিজেদের অপকর্মের জন্য সমাজের সামনে নত হতে হবে এবং এসবের সমাধাণ হয়ে গেলে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারার ভয়ে কুলাঙ্গার দুই সন্তান দেলোয়ার হোসেন ওরফে ভূট্টো ও এমরান একটি বৈঠকেও উপস্থিত থাকেনি। যেখানে স্থানীয় মেম্বার, এলাকার সম্মানীত ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন এবং ইউ পি চেয়ারম্যান বিষয়টি অবগত আছেন।
ভূট্টো ও এমরানের উক্তি এভাবেই অত্যাচার নির্যাতনের মাধ্যমে মা বাবা সহ পুরো পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করবে অথবা তারা বাড়ি ও জমিনের যে ভূয়া দলিল বানিয়েছে তা দিয়ে বাবা মা মৃত্যুর পর তাদের ভাড়াটিয়া পালিত সন্ত্রাস ও সমাজের দুষ্টো লোকদের সহায়তায় অন্যান্য ভাই বোনদের সম্পত্তি যবর দখল করে পুরো পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করবে। অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা যখন বেড়ে যায় তখন নিজ বাঁচতে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাঁচাতে মা বাদি হয়ে মাধবদী থানায় একটি জিডি করেন।
এ জিডির পর ভূট্টো ও এমরান তাদের অত্যাচার হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং জিডি হতে বাঁচতে পরিবারের বাকি পাঁচ ভাইকে আসামি করে মিথ্যে বানোয়াট অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। ভূক্তভোগী মা বাবা ও পরিবার নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যেহেতু মামলা প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং এমন বৃদ্ধকালে এ প্রক্রিয়ায় ন্যায় পেতে কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে কষ্টকর সেহেতু মৃত্যুর পূর্বে যেনো বুট্টো ও এমরান এ দুই কুলাঙ্গার সন্তানের অত্যাচার নির্যাতন হতে রেহাই পেয়ে শান্তীতে মৃত্যুবরণ করতে পারি তার জন্য আপনাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।