শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব ছেড়ে গ্রামে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন অসহায় সাধারণ মানুষ

মাসুদ খান, পলাশ, নরসিংদীঃ শহরের অধিক ব্যায়ভার বহন করতে না পেরে বাধ্য হয়ে প্রতিদিনই গ্রামে ফিরছেন শত শত মানুষ। তারা ফিরছেন একবারেই কর্মহীন এবং নিঃস্ব হয়ে। প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মালপএ গাড়ি বহন করে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে আসতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ দিনমজুর, কেউ ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, কেউ গার্মেন্টস শ্রমিক, কেউ প্রাইভেট শিক্ষক এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। একদিকে অভাবের তাড়োনায় যেমন শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরছেন, অন্যদিকে রয়েছেন দুশ্চিন্তায় কিভাবে চলবে সংসার। তেমনি একজন সাহেদ মিয়া কাজ করতেন একটা বেসরকারি অফিস সহকারী হিসেবে, থাকতেন ঢাকায় ১৫ হাজার টাকা ভাড়ায় একটি ফ্ল্যাট নিয়ে। উনার বউ কাজ করতেন একটি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে, দুজনের আয়ে ভালোই চলছিলো সংসার। করোন ভাইরাসের সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই চাকুরী হারান সাহেদ মিয়া, তার স্ত্রীর ও ৪ মাস যাবত
স্কুল এবং টিউশন বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় বাসা ভাড়া এবং সাংসারিক খরচ চালাতে হিমশিম খাওয়ায় গ্রামে ফিরতে বাধ্য হন। অন্য আরেক জন কে পিকআপ থেকে মালামাল নামাতে দেখা গেলো, নাম শিউলি বেগম তার এক মেয়ে এবং স্বামী কে নিয়ে গ্রামে ফিরেছেন কথা হয় তার সাথে থাকতেন বাড্ডায় টিন শেডের দুই রুম নিয়ে, স্বামী বাড্ডায় একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। ২৬ শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় রেস্টুরেন্টেটি, ভেবেছিলেন সাধারণ ছুটি শেষ হলে আবার চালু হবে ফিরবেন কাজে। সেই
আশায় এত দিন ছিলেন ঢাকায়, কিন্তু রেস্টুরেন্টে চালু হলেও চাকুরী হারান শিউলি বেগমের স্বামী মোঃ বাছেদ মিয়া। তাই ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখেই গ্রামে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
একদম খালি হাতেইবা গ্রামে ফিরে কি করবেন এই ধরনের অসহায় সাধারণ মানুষগুলো। তাদের দাবী সরকার যদি ৩ মাসের বাসা ভাড়া মওকুফের কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করতেন, তাহলে ঢাকায় থেকে অন্য কর্মসংস্থান করে জীবিকা নির্বাহ সহজ হতো। তারা সরকারের কাছে সাহায্য সহযোগিতার আবেদন জানান

এই বিভাগের আরো খবর