বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকটককে বিদায় দিয়ে যা বললেন মিমি-নুসরাত

বিনোদন ডেস্ক : উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চীনের সম্পর্ক। লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সতর্ক অবস্থানে আছে দুই দেশের সেনারা।

এমন পরিস্থিতিতে চীনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে কমপক্ষে ৫৯টি চীনা অ্যাপস নিষিদ্ধ করেছে। এই ঘোষণার পরের দিনই অফলাইন হয়ে গেল ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ টিকটক। অ্যাপ খুললেই ভারতে এই অ্যাপ ব্লক সংক্রান্ত মেসেজ ভেসে উঠছে স্ক্রিনে। মঙ্গলবার থেকেই প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্টোর খুললেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেলেব থেকে সাধারণের পছন্দের এই অ্যাপ।

খুব কম সময়ে ভারতবাসীর মনে জায়গা করে নেওয়া ভিডিও শেয়ারিং এই অ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তারকাদের মধ্যেও। টলিপাড়ায় যে সমস্ত সেলেব এই অ্যাপের প্রেমে পড়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরাত জাহান। ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল টিকটক জয়েন করেন নুসরাত। দ্রুতই বাড়তে থাকে তার ফলোয়ারের সংখ্যা। নুসরাতের টিকটকে অনুরাগীর সংখ্যা ছিল ১৪ লক্ষেরও বেশি। লাইকসের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লক্ষ।

টিকটক বন্ধ হওয়া নিয়ে নুসরাতের কথায়, ‘‘আমার কাছে টিকটক আমার ফ্যানদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটা মাধ্যম মাত্র। যদি দেশের স্বার্থে এই অ্যাপ বন্ধ করা হয় সে ক্ষেত্রে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’’

তবে নুসরাত ফ্যানদের মন খারাপের কিছু নেই। তিনি কথা দিয়েছেন, টিকটকে না থাকলেও ইনস্টাগ্রামেই ফ্যানেদের সঙ্গে ভালবাসা ভাগ করে নেবেন।

নুসরাতের মতো অতটা সক্রিয় না হলেও আর এক সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও মাঝেমাঝেই টিকটকে পোস্ট করতেন ভিডিও। টিকটক বন্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনিও। মিমি বলছেন: ‘‘আমি নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। আমি একজন পারফর্মার। আমার কাছে সব প্ল্যাটফর্মই সমান। তাই মাঝে মাঝে টিকটকে ভিডিও পোস্ট করতাম। কাল যদি আরও চারটা অ্যাপ বন্ধ হয় দেশের জন্য তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।’’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

এই বিভাগের আরো খবর