ডেস্ক নিউজ : ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৭৭ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতি ভরিতে চার হাজার ৪৩২ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। এর আগে গত ২৯ মে দেশে স্বর্ণের দামে রেকর্ড হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে চার দফা স্বর্ণের দামে রেকর্ড হলো।
মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম দুই বার বেড়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭২ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো।
বুধবার (৫ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজুস-এর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, ‘করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। বিশ্বে অনেক পণ্যের দামও পড়ে যাচ্ছে। তবে এ সময়ে মানুষের সম্পদ হচ্ছে স্বর্ণ। যে কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের দাম বেড়েই চলেছে। এটি আরও বাড়তে পারে। আপাতত দাম কমার সুযোগ নেই।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) থেকে ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বাড়ছে চার হাজার ৪৩৬ টাকা। এতে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরির দাম পড়বে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা।
অন্যদিকে ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৬৬ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৩১৮ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকায়।
বাজুসের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে ওঠে। এতে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৫২৮ টাকা। এটি ছিল ওই সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। এর আগে দেশে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ৬০ হাজার ৬৫৩ টাকা।
যদিও করোনায় সারাদেশে সাধারণ ছুটির মাঝেই অনেকটা নীরবে আরেক দফা স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। সে সময় প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা।
এরপর ২২ জুন স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরির দাম ওঠে ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকায়। কয়েক দিন এ হার অপরিবর্তিত থাকে। তবে গত ২৪ জুলাই প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম (২২ ক্যারেট) দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ হাজার ৭৮০ টাকায়।