বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌ দুর্ঘটনায় ছয় মাসে ১৫৩ জনের মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ :  নৌপথে লঞ্চ দুর্ঘটনা কমলেও যাত্রীবাহী ট্রলার বা ছোট নৌযানসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্যবাহী নৌযানে দুর্ঘটনা বেড়েছে। গত ৬ মাসে যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ১০৬টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ১৫৩ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হন। ওই সকল দুর্ঘটনায় ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ শনিবার নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২৪টি জাতীয় ও ১০টি আঞ্চলিক দৈনিক এবং ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন নৌ দুর্ঘটনার ওই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত) নৌ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭৬ ও ৭১; যা চলতি বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসে সবচেয়ে বেশি ২৬টি দুর্ঘটনায় ৫৯ জন নিহত হন। যার মধ্যে রয়েছে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি। ২৯ জুন সকালে বড় লঞ্চ এমভি ময়ূর-২ এর ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই ছোট লঞ্চ এমএল মর্নিং বার্ড নিমজ্জিত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সেখান থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪টি মরদেহ।

এ বিষয়ে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নেমে আসলেও বছরজুড়ে সারা দেশেই বিচ্ছিন্নভাবে যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোট নৌযান দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে লঞ্চের মতো একসঙ্গে অনেক যাত্রী মারা না গেলেও প্রায় প্রতিটি ঘটনায়ই এক বা একাধিক মানুষ নিহত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নৌ চলাচল ব্যবস্থার ওপর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাব, কঠোর তদারকির ক্ষেত্রে ওইসব সংস্থার জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতা, বিপুলসংখ্যক অবৈধ নৌযান চলাচল, দক্ষ মাস্টার ও ড্রাইভারের স্বল্পতা, দুর্বল আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় দূর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় আনা সম্ভব।

এই বিভাগের আরো খবর