মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জানা অজানা : ফ্ল্যাটফিশ

ডেস্ক নিউজ :  বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে রয়েছে নানান ধরণের অজানা ঘটনা আর রহস্য। অনেক ক্ষেত্রে আমরা এগুলো সম্পর্কে জানি, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে সেগুলো হয়তো আমাদের জানার বাইরে রয়েগেছে। তেমনই কোন অজানাকে জেনে নিব আজ। আজ আমরা জানবো- ‘ফ্ল্যাটফিশ’ সম্পর্কে।

এটি অগভীর সমুদ্রের একটি প্রাণী। সমুদ্র তলদেশে বাস করে এরা। যার প্রায় পাঁচশত প্রজাতি রয়েছে। দেখতে অনেকটা চাঁদা মাছের মতো চ্যাপ্টা। এই ফ্ল্যাটফিশের দুইটি বৈশিষ্ট রয়েছে।

১. ক্যামোফ্লেজ বা ছদ্মবেশ ধারন। পরিনত প্ল্যাটফিশ বেশীরভাগ সময় সমুদ্রের তলদেশের মাটিতে শুয়ে থাকে। এ সময়ে শত্রু থেকে আত্মরক্ষা ও শিকার ধরার প্রয়োজনে এটি যেখানে শুয়ে থাকে অল্প সময়ের ভিতরেই সেই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে শরীরের রং পরিবর্তন করে ফেলে।

২. চোখের অবস্থান পরিবর্তন – সদ্য জন্ম নেওয়া ফ্ল্যাটফিশের দুইটি চোঁখ শরীরের দুই পাশে থাকলেও পরিনত ফ্ল্যাটফিশের দুইটি চোঁখই শরীরের একদিকে পাশাপাশি অবস্থান নেয়। প্রথমাবস্থায় যখন এটি সমুদ্রতলে শুয়ে থাকে তখন এর একটি চোঁখ উপরের দিকে এবং আরেকটি চোঁখ নীচে মাটির দিকে থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে এর নীচের চোঁখটি অবস্থান পরিবর্তণ করে উপরের অন্য চোঁখটির পাশে চলে আসে।

ফ্ল্যাটফিশের যে পাশটি নীচের দিকে থাকে সেই পাশটির রং থাকে হালকা ধূসর। আর উপরের দিকের পাশটি পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন হয়। আরেকটি মজার কথা হলো ফ্ল্যাট ফিশের একটি প্রজাতি সব সময় একই দিকটি নীচের দিকে রেখে সমুদ্র তলে শুয়ে থাকে। কোন প্রজাতি বাম দিকে আর কোন প্রজাতি ডান দিকে। সেই হিসেবে বাম বা ডান চোঁখটি অবস্থান পরিবর্তন করে।

আটলান্টিক ও প্যাসিফিক মহাসাগরে ফ্ল্যাটফিশ সহজলভ্য। বড় প্রজাতির ফ্ল্যাটফিশগুলো জনপ্রিয় খাবার হিসেবে বিবেচিত উপকুলীয় দেশগুলোতে।

ফ্ল্যাটফিশের পূর্বসূরী হিসেবে ৫০ মিলিয়ন আগে সমুদ্রে বিচরণ করা এ্যাম্ফিস্টিয়াম (Amphistium) কে ধরা হয়। প্রাপ্ত এই ফসিল থেকে দেখা যায় এর দুটি চোঁখ শরীরের একই দিকে না থাকলেও এর একটি চোঁখ মাথার উপরে চলে এসেছে। ধারনা করা হয় বিবর্তনের মধ্যবর্তী অবস্থানটা হচ্ছে এই এ্যাম্ফিস্টিয়াম।

এই বিভাগের আরো খবর